কৃত্তিকা নক্ষত্র


############কৃত্তিকা নক্ষত্র########

হরিবংশে আছে অগ্নির অঙ্গ কাল বস্ত্রাবৃত। সঙ্গে থাকে ধুম্র পতাকা ও জ্বলন্ত বর্ষা এর বাহন ছাগল চারটি হাত দুই বা ততোধিক অরুন বা পিঙ্গল বর্ণের হস্তচালিত উজ্জ্বল রথে ইনি ভ্রমণ করেন। সপ্ত বসু এর রথের চক্র। অগ্নি দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অধিপতি। এই কারণে দক্ষিণ-পূর্ব কোন কে অগ্নিকোণ বলা হয়। ইনি পিতৃলোক এর অধিপতি দেবতাদের জন্য যজ্ঞ ভাগ বহনকারী এবং দ্রুত যজ্ঞের সারথি। অগ্নির সাতটি শিখা আছে করালি, ধামিনী, নীললোহিত, পদ্মরাগ, লোহিত, শ্বেতা, সুবর্ণা।

বৈদিক যুগের তিন প্রধান দেবতার একজন হলেন অগ্নি; তিনি মর্ত্যের দেবতা, অন্য দু’জন হলেন স্বর্গের ইন্দ্র এবং অন্তরীক্ষের বরুণ। অগ্নিকে বলা হয় দেবতাদের মুখ বা দূত। কারণ, যজ্ঞে যে আহুতি দেওয়া হয় তা অগ্নির মাধ্যমেই অন্য দেবতারা পেয়ে থাকেন। বৈদিক ঋষিরা অনুভব করতে পেরেছিলেন যে, আগুন অর্থাৎ তাপ হচ্ছে জীবনের উৎস এবং জীবের বেঁচে থাকার অন্যতম প্রধান উপাদান এবং সে কারণেই অগ্নিকে দেবতা হিসেবে পূজার প্রচলন শুরু হয়। অগ্নি একাধারে যজ্ঞ, গৃহ ও অন্নের অধিপতি। উপনিষদের ব্রহ্মা-এর মতো অগ্নি সর্বভূতে বিরাজমান।

অগ্নিকে আটটি লোকপাল বা বিশ্বের অভিভাবকদের মধ্যে একটি এবং বিশেষ করে, দক্ষিণ-পূর্ব চতুর্থাংশের প্রভু হিসেবে মনে করা হয়। পৌরাণিক ব্যক্তিত্বরূপে বিভিন্ন পর্যায়ে অগ্নি আবির্ভূত হয়েছেন নানা রূপে, যেমন অঙ্গিরার সন্তানরূপে, পিতৃ অথবা মানিশ-এর রাজারূপে, মারুত রূপে, সন্ধিলার পৌত্ররূপে, তমসার শাসনকালে বিরাজমান সাতজন মুনির একজনরূপে, অথবা চতুর্থ মনুরূপে, অন্যতম তারকারূপে এবং একজন ঋষি বা কতিপয় বৈদিক স্তোত্রগীতের রচনায় উৎসাহ প্রদানকারীরূপে।

কৃত্তিকা দেবতা অগ্নি।

ভগবান অগ্নি নিজেকে পুড়িয়ে খাবার, আলো, উত্তাপ সৃষ্টি করে ওপরের সেবায় ব্যাবহার হয়।

ঠিক তেমনি এইসকল মানুষ নিজেকে পুড়িয়ে ওপরের সেবা করে থাকেন।

বিদ্যাসাগর এর জন্ম কৃত্তিকা নক্ষত্রে, ওই মানুষটা লোকের পাথরের আঘাত পর্যন্ত খেয়েছিলেন, বিধবা বিবাহের প্রচলন আনার জন্য। সতী দাহ প্রথার বিরুধ্যে সমাজের সামনে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিলেন।

অমর্ত্য সেন এর জন্ম কৃত্তিকা নক্ষত্রে।
দুর্ভিক্ষ, মানব উন্নয়ন তত্ত্ব, জনকল্যাণ অর্থনীতি ও গণদারিদ্রের অন্তর্নিহিত কার্যকারণ বিষয়ে গবেষণা এবং উদারনৈতিক রাজনীতিতে অবদান রাখার জন্য ১৯৯৮ সালে তিনি অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে ব্যাংক অফ সুইডেন পুরস্কার (যা অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার হিসেবে পরিচিত) লাভ করেন। অমর্ত্য সেনই জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশের শিক্ষা এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য মানব উন্নয়ন সূচক আবিষ্কার করেন। তিনিই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক না হয়েও ন্যাশনাল হিউম্যানিটিস মেডালে ভূষিত হন।

গরীব মানুষের জন্য ৪০ বছর ধরে তার প্রচেষ্টা সারা বিশ্বে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়েছে।

শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী এর লগ্নে কৃত্তিকা নক্ষত্র

তাঁর বাবা বাংলার বাঘ | তিনি নিজে ব্যাঘ্রশাবক হয়েছিলেন শুধু পিতৃপরিচয়ে নয় | নিজ গুণ, পাণ্ডিত্য, প্রতিভা ও কর্মদক্ষতায় |

৫০ মন্বন্তরের সময় যখন লক্ষ লক্ষ মানুষ খাদ্যের অভাবে মারা যাচিলেন তখন মুসলিম লীগের সরকার ছিল বাংলাতে ,তাই হিন্দুদের জন্য নাম মাত্র ব্যবস্থা হয়েছিলো , সুতরাং ডাঃ মুখার্জীর একান্ত প্রচেষ্টাই তৈরী হল “বেঙ্গল রিলিফ কমিটি” এবং তাতে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সকলেই সাহায্য পেলেন ।
ডাঃ মুখার্জীর জীবনের সবথেকে বড় অবদান হল যা অকৃতজ্ঞ বাঙালীরা অবহেলার চোখে ফেলেরেখেছে সেটা হল “পশ্চিমবঙ্গকে পাকিস্থানের কবলথেকে বাঁচিয়ে আনা”।
এভাবেই নিজেকে পুড়িয়ে মানুষের সেবায় কাজে লাগে কৃত্তিকা নক্ষত্রের মানুষেরা।

যখন দেব আর দানব গুরু বৃহস্পতি আর শুক্র কৃত্তিকা নাক্ষত্রে অবস্থান করে তখন মহাত্মা গান্ধী ও কার্ল মার্ক্স এর মতন মানুষ জন্ম গ্রহন করেন পৃথীবিতে।

গান্ধীর বৃহস্পতি
কার্ল মার্ক্স এর শুক্র
এদের জীবনী নেই বিশেষ আলোচনার দরকার আছে বলে মনে হয়না।

উইললিম সেক্সপেয়ার এর শুক্র কৃত্তিকা নক্ষত্রে।

রবি জীবনের কারক গ্রহ
রবি যখন অগ্নি তত্ব কৃত্তিকা নক্ষত্রে আসে তখন
ডক্টর বিধান চন্দ্র রাযের মতন মানুষের জন্মহয় এই পৃথিবীতে।
তার ডাক্তারী বিদ্যার আলোয় আলোকিত করেন গোটা ভারতবর্ষকে।

অনেক জ্যোতিষী বলেন শনি দেবতা কালো অন্ধকারের গ্রহ,
স্টিফেন হকিংস এর শনি কৃত্তিকা নাক্ষত্রে,
তাই হয়তো সৌরমান্ডলের ব্ল্যাক হোল এর উদ্দেশ্যে জীবনটা কাটিয়ে দিলেন।

ক্ষুধার্ত যাদের খাবার চাই, দুমুঠো খাবার।
রাস্তার ভিখারী, অনাথ শিশুদের নিয়ে কাটিয়ে দিলেন মাদার তেরেসা,
রাহু কৃত্তিকা নক্ষত্রে।
আজ আমাদের ভগবান।
নিজেকে অক্লান্ত জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মানুষের সেবায় এনারা সকলেই ভগবান।

সম্রাট বোস
7890023700