নিজে না হার মানলে কারোর ক্ষমতা নেই আপনাকে হারানোর


 

নিজে না হার মানলে কারোর ক্ষমতা নেই আপনাকে হারানোর।

পোলিওর আঘাতে দুটো পা-ই যখন অকেজো হয়ে যায়, তখন তাঁর বয়স মাত্র ১১ মাস৷ তার পরেও সেই ‘দু-পায়েই’ উঠে দাঁড়িয়েছেন তিনি৷ বডিবিল্ডিংয়ের আসরে চিনিয়েছেন নিজেকে৷ বেহালার সরশুনার ছেলে সৌমেন হালদারের জীবনের সারাংশ এ রকমই৷ দুটো পা না থাকা সত্ত্বেও বডিবিল্ডিংয়ে রাজ্য এবং জাতীয় স্তরে অনেক পদক ঘরে এনেছেন তিনি৷

ভাগ্য ভালো কতজনের হয়?
কতজন সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মায়?
আপনাদের বাড়ির আশেপাশে এমন কোনো ছেলে বা মেয়ে দেখতে পারেন যাদের জীবনী শক্তি প্রচুর, পরিবেশ পরিস্থিতি যতই তার বিরূপ হোক, কোনো কিছুতেই পিছুপা হয়না। এমন ছেলে মেয়ে এর সংখ্যা কম হলেও কিন্তু দেখতে পাবেন আপনাদের পাড়ায়, ক্লাব বা আশেপাশে নজর দিলেই, ভগবানের থেকে যেনো ছিনিয়ে নিচ্ছে নিজের অস্তিত্ব।

গ্রামের মহিলারা ঘিরে ধরে গল্প শুনতে চাইতেন। মাঝ সমুদ্রের গল্প। যেখানে শুধু জল আর জল। যেখানে আনাজ কাটা নেই, ভাত রান্না নেই। আছে শুধু নিজের যন্ত্রচালিত নৌকা আর জাল। সঙ্গী কয়েকজন পুরুষ মৎস্যজীবী। তাঁদের সঙ্গে মাছ ধরছেন মীনাক্ষী। ঘর-গৃহস্থালীতে অভ্যস্ত মেয়েরা বিস্ময়ে প্রশ্ন করতেন, ‘‘কী করে পারো, দিদি!’’
মাছ ধরতে যাওয়ার কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না মীনাক্ষীর। তবুও স্বামীকে ভরসা জোগান তিনি। দু’একবার ট্রলারে চেপেছিলেন। সেই ভরসাতেই স্বামীকে বলেন, ‘‘চলো মাছ ধরতে। আমি ট্রলার চালাব।’’ নির্মলবাবু উৎসাহ দেখাননি। কিন্তু স্ত্রীর জেদের কাছে হার মানেন শেষ পর্যন্ত। তাঁদের তিন ছেলে, নন্দন, চন্দন ও বিনন্দন তখন বেশ ছোট। ছেলেদের আত্মীয়ের বাড়ি রেখে স্বামীর সঙ্গে ভেসে পড়েন সমুদ্রে। সেই সময়ে তাঁর সিদ্ধান্ত বিস্মিত করেছিল স্থানীয় মৎস্যজীবী সমাজকে। পড়শিদের তো বটেই। সেজন্যই মাছ ধরে ফিরলে মেয়েরা সমুদ্রের গল্প শোনার জন্য ঘিরে ধরতেন।

এইসকল মানুষের একটাই জিনিস সম্বল, সেটা হোলো সাহস। ভগবান রাশি চক্র থেকে সব কিছুই কেড়ে নিলেও সাহস ভরে দিয়েছেন। রাশি চক্রে ৬ভাব থেকে আমরা সাহসের পরিমাপ করে থাকি।
যদি ৬পতি শক্তিমান হয় অথবা ৬ভাবে মঙ্গলের অবস্থান হয় তাহলে সেই মানুষ বাঘের মুখ থেকেও খাবার ছিনিয়ে আনার সাহস রাখে।

ইতিহাস সাক্ষী আছে এমন কিছু নামের কথা যে সকল মানুষ পৃথিবীর ইতিহাসে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।

Jesus Christ
Prophet mohammad
Nicholas Copernicus
Major dhyan chand
Kapil dev
Rajnikant
V.I.Lenin
Karl marx
Sachin tendulkar
Atal behari vajpaee

এনাদের সকলের জাতচক্রে ৬ভাবে মঙ্গলের অবস্থান।
রজনীকান্তের অটো ড্রাইভার থেকে মেগাস্টার হবার গল্প সবাই জানেন নিশ্চই।
আমার মনেহয় আমি যাদের নাম লিখেছি এখানে সকলের জীবন কাহিনী আর তাদের কঠিন পরিশ্রমের গল্প নিশ্চই শুনেছেন।

লগ্ন পতি আর ৬পতি শক্তিশালী হলে আপনাকে কেউ হারাতে পারবে না। ছবিতে একটি কুন্ডলী দেওয়া আছে সেটা দেখে বোঝার চেষ্টা করি আসুন।

Analysis

১, লগ্নপতি ৬ পতি মঙ্গল মেষ রাশিতে স্বক্ষেত্রে অবস্থান।
(লগ্ন ভাব থেকে জাতকের নিজের শরীর এবং ৬ স্থান থেকে আমরা সাহস, ইচ্ছা বিচার করে থাকি।)

২, ৫পতি বৃহস্পতি ৫মে মীন রাশিতে স্বক্ষেত্র অবস্থিত। (৫ম থেকে আমরা মোন, মানসিকতা, বুদ্ধি, ভালোবাসা বিচার করি।)

৩, মনের কারক গ্রহ চন্দ্র সে আবার ভাগ্য পতি হয়ে ৫মে পঞ্চম পতির সাথে সহাবস্থান।

৫, রাহুর অবস্থান পঞ্চমে। রাহুকে শক্তির আর এক রুপে বিচার করে থাকি আমরা।

৬, বৃহস্পতি, চন্দ্র আর রাহু ৫মে অবস্থান করে মাজরিকে মানসিক ভাবে প্রচন্ড শক্তিশালী করে তুলেছে।

Observation

হার না মানা লৌহমানবী মুনিবা মাজারি

মুনিবা মাজারি একজন পাকিস্তানী নাগরিক। তিনি একাধারে একজন মানবাধিকার কর্মী, চিত্রশিল্পী, টেলিভিশন উপস্থাপক, মোটিভেশনাল স্পিকার এবং গায়িকা। ১৯৮৭সালে ৩রা মার্চ জন্মগ্রহণ করা এই নারী বাবা-মায়ের কথা মানতে মাত্র ১৮বছর বয়সে বিয়ে করে নেন। যদিও তিনি বিয়ে নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। ২০০৭সালে বিয়ের দু’বছর পর যখন তিনি এবং তার স্বামী গাড়িতে করে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তখন গাড়ি এক্সিডেন্ট হয়। গাড়ি বড় একটি খাদে পরে যাওয়ার আগেই তার স্বামী লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে বের হয়ে যান। কিন্তু মুনিবা বের হতে পারেনি। গাড়িটি খাদে পরার পর মুনিবা খেয়াল করে যে তার শরীরে কোনো অংশ কাজ করছে না।

গাড়ি এক্সিডেন্টের পর মুনিবাকে প্রায় অনেকদিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছিলো। মারাত্মকভাবে মুনিবার হাত, পা, মেরুদন্ড, কলার ফেটে যায়।মুনিবা একজন চিত্রশিল্পী হতে চেয়েছিলো কিন্তু তখন ডাক্তার এসে জানায় যে তিনি আর আঁকতে পারবেনা। কারন তার হাত মারাত্মকভাবে ভেঙেছে। পরদিন ডাক্তার এসে জানায় মুনিবা আর কোনোদিনই হাঁটতে পারবেনা। মুনিবা এ পর্যন্ত মেনে নেয়। কিন্তু তারপরের দিন ডাক্তার এসে জানায় তার পিঠের মেরুদণ্ড যেভাবে ভেঙেছপ তাতে করে তিনি আর কোনোদিনও মা হতে পারবেননা। এই কথা শুনে মুনিবা প্রচন্ড পরিমাণ ভেঙে পরে নিজেকে প্রশ্ন করেন তবে কি কারনে বেঁচে আছেন তিনি?

হাসপাতালে সাদা দেয়ালে মনে মনে রঙ মেখে নিজেকে সান্ত্বনা দেয়া মুনিবা একদিন তার ভাইকে বলে কিছু ছোট ক্যানভাস আর রঙ এনে দিতে। তার ভাই সেগুলো এনে দিলে তিনি প্রথমেই আঁকে একটি ডেডবডি। সবাই তা দেখে বলে অনেক সুন্দর, অনেক রঙ মাখানো একটি সুন্দর আর্ট। কিন্তু কেউ সেই হাসপাতালে ডেডবডির কষ্ট দেখেনা। একসময় মুনিবা বুঝে এই পৃথিবীতে কেউ কারো কষ্ট বুঝেনা। বাঁচতে হবে নিজের জন্যে, নিজেকে তৈরি করতে হবে নিজের জন্যেই। সকল ভয়কে জয় করতে হবে। তিনি তার সকল ভয় লিখে ফেলেন ডায়েরীতে। সকল ভয় জয় করার চেষ্টায় নামেন মুনিবা। তার সবচেয়ে বড় ভয় ছিলো ডিভোর্স। যখন তিনি বাসায় চলে আসে, তিনি জানতে পারে তার স্বামী বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি তখন তার স্বামীকে শুভকামনা জানিয়ে মেসেজ দেয়। একই সাথে তিনি সব ভয় জয় করে নেন।

মুনিবা কোনোদিন মা হতে পারবেনা, এ বিষয়টা তাকে পুরোপুরিভাবে ভেঙে দেয়। কিন্তু তিনি পরবর্তীতে ভাবে পৃথিবীতে অনেক শিশু অনাথ আশ্রমে বড় হয়, অনেক শিশু পথেঘাটে থাকে। তিনি অনাথ আশ্রমে নিজের নাম দিয়ে রাখে। দু’বছর পর তিনি একটি কল পায় একটি বাচ্চাকে নেয়ার জন্যে। তিনি বলেন ঠিক তখন তার প্রসব ব্যাথার মতো অনুভূতি হচ্ছিলো। তিনি ঐ বাচ্চাটিকে নিজের ছেলে করে নেয়। মুনিবা মাজারিকে পাকিস্তানের লৌহমানবী বলা হয়। তিনি ২০১১সালে বিবিসির ১০০সর্বাধিক অনুপ্রেরণামূলক নারীর মধ্যে নিজের স্থান করে নেন। ২০১৫সালে ফোর্বসের “আন্ডার থার্টি ইম্পেক্ট চ্যালেঞ্জ” বিভাগে নাম উঠে মুনিবা মাজারির। তিনি পাকিস্তানের “ইউএন ওমেন পাকিস্তান” এর ন্যাশনাল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করেন।

মুনিবা বলেন যে হুইলচেয়ারে বসা মানুষেরা ভাবে এই পৃথিবীর যোগ্য লোকেরা তাদের মেনে নিবেনা। পৃথিবীকে তখন দেখিয়ে দিতে হবে যে সবাই পারে। কেউ ব্যর্থ নয়। নিজে যখন সঠিক পথ বেছে নিবো, সবাই তা অনুসরণ করবে। বর্তমান সমাজ নিজের প্লান মতো কিছু নাহলেই হতাশায় ভুগে, কিন্তু সবকিছুর স্বাদ নিতে হয়। জীবন একটা পরীক্ষা, এটাকে আলিঙ্গন করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে বলে মুনিবা বলেন। মুনিবা মাজারিকে পাকিস্তানের লৌহমানবী বলা হয়। তিনি ২০১১সালে বিবিসির ১০০সর্বাধিক অনুপ্রেরণামূলক নারীর মধ্যে নিজের স্থান করে নেন। ২০১৫সালে ফোর্বসের “আন্ডার থার্টি ইম্পেক্ট চ্যালেঞ্জ” বিভাগে নাম উঠে মুনিবা মাজারির। তিনি পাকিস্তানের “ইউএন ওমেন পাকিস্তান” এর ন্যাশনাল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করেন।

সর্ব শেষে আবার বলছি,
নিজে না হারলে কারোর ক্ষমতা নেই হারিয়ে দেবার।

সম্রাট বোস
7890023700