সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়


——-শুভ জন্মদিন সৌমিত্র বাবু————–

অভিনয়টাই বেঁচে থাকা।

পঞ্চান্ন বছর ধরে অভিনয় করছি। এই যাত্রাপথ কঠিন ছিল। আমি ‘অপুর সংসার’ ছবিটি করেই যাকে বলে ‘টক অব দ্য টাউন’ হয়ে উঠেছিলাম। তারপরও যাত্রা খুব সহজ ছিল না। এই কঠিন পথ পাড়ি দিতে অনেক কিছু ছাড়তে হয়- অনেক কিছু দিতে হয়।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (জন্ম জানুয়ারি ১৯, ১৯৩৫ ১০:২৬মিমিটে, কৃষ্ণনগর) বিখ্যাত অভিনেতা, আবৃত্তিকার এবং কবি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ৩৪টি সিনেমার ভিতর ১৪টিতে অভিনয় করেছেন ।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিটি কলেজ, আমহার্স্ট স্ট্রিট, কলকাতা ) সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেন । ১৯৫৯ সালে তিনি প্রথম সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় ‘অপুর সংসার’ ছবিতে অভিনয় করেন । পরবর্তী কালে তিনি মৃণাল সেন, তপন সিংহ, অজয় করের মতো পরিচালকদের সাথেও কাজ করেছেন।

সিনেমা ছাড়াও তিনি বহু নাটক, যাত্রা, এবং টিভি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন।

অভিনয় ছাড়া তিনি নাটক ও কবিতা লিখেছেন,পরিচালনা করেছেন। তিনি একজন খুব উঁচুদরের আবৃত্তিকার।

১১সে ৪টি গ্রহের অবস্থান জন্মগত, (১১ আয় স্থান, success)। যদি কোনো জাতকের ১১ স্থান শক্তিশালী হয় আর সেই ১১এর দশা বা অন্তর্দশা অতিবাহিত হয় তাহলে জাতকের জীবনে অনেক কঠিন পরিস্থিতি থাকলেও সেই জাতক উন্নতি করবেই।

কোথায় আছে, connection creats opportunity..
৩পতি শুক্র (connection) ১১সে অবস্থান।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়-এর সর্বপ্রথম কাজ প্রখ্যাত চলচিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের অপুর সংসার ছবিতে যা ১৯৫৯ সালে নির্মিত হয়।

Natural zodiac ৩পতি বুধ।
৩ পতির দশা এবং অন্তর্দশায় যা ১১ সে অবস্থান। উনি প্রথম সুযোগ পান, যোগাযোগ হয়েছিলো এবং অনেকেই সেই ভূমিকায় পছন্দ করেছিলেন সত্যজিৎ রায়।

যোগাযোগ হলো ভালো কথা, কিন্তু সেই মানুষের কর্ম ক্ষমতা আর সাহস যদি না থাকে তাহলে কেমন করে জীবন যুদ্ধে সংগ্রাম করবে?
কর্ম ক্ষমতা না থাকলে জীবন জয় হবার নয়, কর্মের চেষ্টা আপনাকে করতেই হবে।
৬পতি রবি (কর্মের চেষ্টা, লড়াই, সংগ্রাম) ১১সে অবস্থান।
এখানে রবি ১১সে অবস্থান করে ওনাকে লড়াই করার মানসিকতা প্রদান করেছে। রবি মানুষকে নাম, যশ, প্রতিষ্টা প্রদান করে থাকে, কর্মের চেষ্টার মাধ্যমে সৌমিত্র বাবু নিজেকে যোগ্য করে তুলেছিলেন তাই রবি ওনাকে নাম যশ প্রতিষ্টা প্রদান করেছিলে।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (জন্ম জানুয়ারি ১৯, ১৯৩৫ ১০:২৬মিনিট কৃষ্ণনগর) বিখ্যাত অভিনেতা, আবৃত্তিকার এবং কবি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ৩৪টি সিনেমার ভিতর ১৪টিতে অভিনয় করেছেন ।

৭ম থেকে আমরা audiance বুঝি, সারা পৃথিবী যারা সৌমিত্র বাবুর অভিনয় দেখবেন। এই ৭ম ভাব বা ভাবপতি যদি দুর্বল হয়ে তাহলে অভিনেতা যতই ভালো অভিনয় করুক তার সুনাম হবে না, সিনেমা ফ্লপ হয়ে যাবে, কিন্তু এখানে সৌমিত্র বাবুর ৭পতি বুধ ১১সে অবস্থিত এবং সেই ৭পতির দশায় ওনার প্রথম সিনেমা প্রকাশিত হয়েছিলো আর এই প্রথম সিনেমাতেই সম্পূর্ণ ভারতবাসীর সামনে প্রকাশ পেলো সিনেমা জগতের কিংবদন্তী মানুষটি।
১৯৭৩ সাল পর্যন্ত বুধের দশা অতিবাহিত হয় এবং উনি একটার পর একটা সিনেমা করতেই থাকেন।

তারপরে আসে শুক্রের দশা সেই শুক্র ১১সে অবস্থিত ৩/৮ পতি শুক্রের দশায় দেশ বিদেশে ওনাকে ডাকাডাকি, এবং ওনার একটার পর একটা মাইল স্টোন সৃষ্টি।

অপুর সংসার (১৯৫৯), ক্ষুদিত পাষাণ (১৯৬০), দেবী (১৯৬০), তিন কন্যা (১৯৬১), ঝিন্দের বন্দী (১৯৬১), অতল জলের আহ্বান (১৯৬২), বেনারসী (১৯৬২), অভিজান (১৯৬২), সাত পাকে বাঁধা (১৯৬৩), চারুলতা (১৯৬৪), কিনু গোয়ালার গলি (১৯৬৪), বাক্স বদল (১৯৬৫), কাপুরুষ (১৯৬৫), একই অঙ্গে এত রূপ (১৯৬৫), আকাশ কুসুম (১৯৬৫), মণিহার (১৯৬৬), কাঁচ কাটা হীরে (১৯৬৬), হাটে বাজারে (১৯৬৭), অজানা শপথ (১৯৬৭), বাঘিনী (১৯৬৮), তিন ভুবনের পারে (১৯৬৯), পরিণীতা (১৯৬৯), অপরিচিত (১৯৬৯), অরণ্যের দিনরাত্রি (১৯৭০), প্রথম কদম ফুল (১৯৭০), মাল্যদান (১৯৭১), স্ত্রী (১৯৭২), বসন্ত বিলাপ (১৯৭৩), অশনি সংকেত (১৯৭৩), সোনার কেল্লা (১৯৭৪), সংসার সীমান্তে (১৯৭৪), দত্তা (১৯৭৬), জয় বাবা ফেলুনাথ (১৯৭৮), দেবদাস (১৯৭৯), গণদেবতা (১৯৭৯), হীরক রাজার দেশে (১৯৮০), কোণি (১৯৮৪), ঘরে বাইরে (১৯৮৪), আতঙ্ক (১৯৮৬), গণশত্রু (১৯৮৯), শাখা প্রশাখা (১৯৯০), তাহাদের কথা (১৯৯২), মহাপৃথিবী (১৯৯২), হুইল চেয়ার (১৯৯৪), পারমিতার একদিন (২০০০), দেখা (২০০১), আবার অরণ্যে (২০০২), পাতালঘর (২০০৩), পদক্ষেপ (২০০৬), দ্য বং কানেকশন (২০০৬), চাঁদের বাড়ি (২০০৭), নোবেল চোর (২০১২), মাছ, মিষ্টি অ্যান্ড মোর (২০১২), অলীক সুখ (২০১৩), রূপকথা নয় (২০১৩), দূরবিন (২০১৪)।

Metiers’ পেয়েছেন । সত্তরের দশকে তিনি পদ্মশ্রী পান কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি। পরবর্তী কালে তিনি পদ্মভূষণ পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৮ সালে পান সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার(শুক্রের দশা এবং বুধের অন্তর দশায়)। দু’ বার চলচ্চিত্রে জাতীয় পুরস্কার পান, ২০০১ ও ২০০৮ সালে(রবি এবং চন্দ্রের অন্তর্দশায়)।

২০১২ সালে তিনি ভারতের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার লাভ করেছেন(চন্দ্রের দশা)।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে বাঙালী আজও ফেলুদার চরিত্রের সবথেকে মানানসই হিসেবে চিহ্নিত করেন। ফেলুদা ছাড়াও, কোণি চরিত্রে মাষ্টারদা’র চরিত্রে এবং আতঙ্ক ছবিতে মাষ্টারমশাই চরিত্রের কথা ভাবলেই আজও বাংলা চলচ্চিত্রপ্রেমীদের শিহরন অনুভূত হয়।

সৌমিত্র বাবু আপনাকে প্রনাম জানাই।