শনি দেবতা


############শনি দেবতা########

শনি যে ঘরে অবস্থান করে সেই ঘর সম্পর্কে ঔদাসীন্য এবং কিছু না কিছু দুঃখ দেবে, তার সাথে শনি থেকে তার চতুর্থ ভাবে কিছু না কিছু সমস্যা সৃষ্টি করবেই।

শনি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা ভয়ভীতিমিশ্রিত হোক না কেন,
মৎস্য পুরাণ কিন্তু শনিকে লোকহিতকর
গ্রহের তালিকাতেই ফেলেছে। মৎস্য ও
সৌর পুরাণের মতে, শনি বিবস্বান (সূর্য)
ও ছায়ার পুত্র। আবার অগ্নি পুরাণের
মতে, বিবস্বানের পত্নীর সংজ্ঞার
গর্ভে শনির জন্ম। এদিকে মার্কণ্ডেয়,
বায়ু, ব্রহ্মাণ্ড, বিষ্ণু ও কূর্ম পুরাণ মতে,
শনি বা শনৈশ্চর অষ্টরুদ্রের প্রথম রুদ্রের
পুত্র। তাঁর মায়ের নাম সুবর্চলা।
স্কন্দ পুরাণের আবন্ত্য খণ্ডে আছে, শনি
ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন শিপ্রা ও ক্ষাতা
নদীর সংযোগস্থলে। উক্ত পুরাণেই শনির
জন্ম নিয়ে একটি চিত্তাকর্ষক কাহিনির
অবতারণা করা হয়েছে: শনি জন্মগ্রহণ
করেই ত্রিলোক আক্রমণ করে বসলেন
এবং রোহিণীর পথ ভেদ করলেন। সারা
ব্রহ্মাণ্ড শঙ্কিত হয়ে উঠল। ইন্দ্র
প্রতিকার চাইতে ছুটলেন ব্রহ্মার কাছে।
ব্রহ্মা সূর্যের কাছে গিয়ে শনিকে
সংযত করতে বললেন। কিন্তু ততক্ষণে
শনির দৃষ্টিপাতে সূর্যেরই পা-দুটি পুড়ে
গিয়েছে। তিনি কিছুই করতে পারলেন
না। তিনি ব্রহ্মাকেই উলটে শনিকে
সংযত করার অনুরোধ করলেন। ব্রহ্মা
গেলেন বিষ্ণুর কাছে। বিষ্ণুও নিজে কিছু
করতে পারবেন না ভেবে ব্রহ্মাকে নিয়ে
চললেন শিবের কাছে। শিব শনিকে
ডেকে পাঠালেন। শনি বাধ্য ছেলের
মতো মাথাটি নিচু করে এলেন শিবের
কাছে। শিব শনিকে অত্যাচার করতে
বারণ করলেন। তখন শনি শিবকে তাঁর জন্য
খাদ্য, পানীয় ও বাসস্থানের নির্দেশ
করতে বললেন। তখন শিবই ঠিক করে
দিলেন—শনি মেষ ইত্যাদি রাশিতে
তিরিশ মাস করে থেকে মানুষের পিছনে
লাগবেন এবং এই করেই তাঁর হাড় জুড়াবে।
অষ্টম, চতুর্থ, দ্বিতীয়, দ্বাদশ ও
জন্মরাশিতে অবস্থান হলে তিনি সর্বদাই
বিরুদ্ধ ভাবাপন্ন হবেন। কিন্তু তৃতীয়, ষষ্ঠ
বা একাদশ স্থানে এলে তিনি মানুষের
ভাল করবেন এবং তখন মানুষও তাঁকে
পূজা করবে। পঞ্চম বা নবম স্থানে এলে
তিনি উদাসীন থাকবেন। এও ঠিক হল,
অন্যান্য গ্রহদের তুলনায় তিনি বেশি
পূজা ও শ্রেষ্ঠতম স্থান পাবেন।
পৃথিবীতে স্থির গতির জন্য তাঁর নাম হবে
স্থাবর। আর রাশিতে মন্দ গতির জন্য তাঁর
নাম হবে শনৈশ্চর। তাঁর গায়ের রং হবে
হাতি বা মহাদেবের গলার রঙের মতো।
তাঁর চোখ থাকবে নিচের দিকে। সন্তুষ্ট
হলে তিনি লোককে দেবেন রাজ্য,
অসন্তুষ্ট হলে লোকের প্রাণ নেবেন।
শনির দৃষ্টি যার দিকেই পড়বে, তিনি
দেবতাই হোন, বা দৈত্য, মানব, উপদেবতাই
হোন, পুড়ে মরতে হবেই হবে। এই কথা বলে
শিব শনিকে মহাকালবনে বাস করতে
বললেন।

শ্রী রামচন্দ্রের কুষ্টিতে যদি আমরা চোখ বুলাই তাহলে আমরা দেখব চতুর্থ ভাবে শনির অবস্থান এই চতুর্থ ভাগ মাতৃ স্থান এবং সংসার জীবন।শ্রী রামচন্দ্র যখন রাজত্ব লাভ করতে চলেছিলেন ঠিক তার আগেই তার মাতৃ দ্বারা তাকে বিতাড়িত হতে হয়েছিল। চতুর্থ ভাবে শনির অবস্থান করে তার তার চতুর্থ ভাবকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সপ্তম ভাবে বসে আছে পঞ্চম প্রতি উচ্চস্থ অবস্থা। আমরা ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনা করে এসেছি বৃহস্পতির যদি দৃষ্টি থাকে তাহলে সেই ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাকে ভালো করে তুলবে কিন্তু শ্রীরামচন্দ্রের রাশিচক্রে লগ্নে বৃহস্পতি এবং চন্দ্র দ্বারা মঙ্গলের উপর দৃষ্টি দান করেও শ্রীরামচন্দ্রের বহি সমাজ অথবা বহির্জগৎ যেটাকে আমরা তা রাজ্যপাট বলে থাকি এটা সপ্তম ভাব থেকে দেখা হয় বা বিচার করা হয় সেটাও রক্ষা করতে পারেনি শ্রী রামচন্দ্র কে রাজত্ব ছেড়ে 14বছরের জন্য বনবাসে যেতে হয়েছি।

ইন্দ্রাগান্ধির রাশিচক্র বিচার করলে আমরা দেখতে পাই কর্কট লগ্নে শনির অবস্থান ঠিক তার চতুর্থ ভাব যদি আমরা বিচার করি তাহলে চতুর্থ ভাব থেকে আমরা মাতৃ বা মাতা বিচার করে থাকি ইন্দিরা গান্ধী খুব অল্প বয়সেই তার মাতৃহারা হয়েছিল। স্বামীর সাথে সংসার সুখ খুব বেশি দিন কাটিং খুব অল্প বয়সেই তার স্বামী চলে গেছিলেন এবং মারা গিয়েছেন। চতুর্থ পতি শুক্র অবস্থান করেছিলেন ষষ্ঠ ভাবে রাহুর সাথে সহাবস্থান ধনু রাশিতে। তার তার শত্রু তার বাসস্থানে অবস্থান করছিল ষষ্ঠ স্থান থেকে আমরা শত্রু বিচার করে থাকি এবং চতুর্থ ভাগ থেকে আমরা গৃহ বিচার করে দেয় চতুর্থ পতি স্বাস্থ্য ভাবে অবস্থান করেছে।

আমরা যদি জহরলাল নেহেরুর জন্ম কুষ্ঠি টা একবার চোখ বুলাই তাহলে দেখতে পাবো কর্কট লগ্নের দ্বিতীয় ভাবে অবস্থান করছে শনি। দ্বিতীয় ভাবের চতুর্থভাগ যদি বিচার হয় তাহলে সেটা হচ্ছে পঞ্চম স্থান। পঞ্চম ভাব থেকে আমরা সন্তান বিচার করি। জহরলাল নেহেরুর জীবনী তার সন্তান সম্পর্কে কতটা সর্বনাশের সেটা বুঝতে গেলে তাহার সন্তান ইন্দ্রাগান্ধির কথা মনে করতে হয়। তাহার সন্তানের নিজস্ব বডিগার্ডের হাতে 22 রাউন্ড গুলি সারা শরীরে নিয়ে তাহাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়।

সম্রাট বোস
7890023700