শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়


########

##রাজলক্ষ্মী#########

আজ আমরা প্রেম বা ভালোবাসা নিয়ে কিছু আলোচনা করবো।

আমার কাছে প্রতিদিন ৮/১০ জন আসেন তাদের প্রেমের সমস্যার কথা নিয়ে।

১,২,৫,৭,১১ জন্ম ছকে থাকলে পণ্ডিতগণ বলে থাকেন প্রেমের পরিণতি বিবাহ।
ঠিক বলেন।
আমার আলোচনা থাকবে ৫,৮ ভাব নিয়ে।
৫ প্রেম
৮ গভীরতা

আমি তোমাকে অসংখ্যভাবে ভালবেসেছি, অসংখ্যবার ভালবেসেছি, এক জীবনের পর অন্য জীবনেও ভালবেসেছি, বছরের পর বছর, সর্বদা, সবসময়।

ভালোবাসায় গভীরতা না থাকলে তার পরিণতি যতই বিবাহ আসুক না কেন, বিবাহের পরে অসীম যন্ত্রনা এসে জীবন ছারখার করে যায়, এটাই অনেকে বোঝেন না।

ইতিহাস সাক্ষী আছে যখনই কোথাও ঊত্তপ্ত ভালোবাসার জন্ম হয়েছে একটা করে নতুন ইতিহাসের সূচনা করা হয়েছে।

For God’s sake, Hold your tongue
And let me love

পাওয়ার নাম ভালোবাসা মানতে পারা যায়না সব সময়,
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্পষ্টই বলেছিলেন “শেষের কবিতায়” লাবণ্য আর অমিতের গল্পে।

যে ভালোবাসা বাপ্ত ভাবে আকাশে মুক্ত থাকে, অন্তরের মধ্যে সে দেয় সঙ্গ; যে ভালোবাসা বিশেষ ভাবে প্রতিদিনের সবকিছুতেই যুক্ত হয়ে থাকে সংসারে সে দেয় আসঙ্গ।

নিমাই ভট্টাচার্য এর লেখা “মেমসাহেব” বাঙ্গালী পাঠক কে না পড়েন নি।
জীবনে যে ভালোবাসা পায়, সে আর কিছু পায় না;
যে জীবনে আর সবকিছু পায়, সে ভালোবাসা পায় না।

শরৎ বাবুর জন্মদিনে শ্রীকান্ত’ উপন্যাস সম্পর্কে আমার পাঠ প্রতিক্রিয়া ও অনুভবের ধ্যান লিখে সামান্য সম্মান নিবেদন করতে চাই।

কথা শিল্পী শরৎ বাবুর কুম্ভ লগ্ন এবং কর্কট রাশি ।কুম্ভ লগ্নের ৫,৮ পতি বুধ ৮ মে অবস্থান করেছেন রবি আর মঙ্গলের নক্ষত্রে।

তার মনের গভীর ভালোবাসার মানুষটিকে খুঁজে পেয়েছি আমি বার বার।

বাংলা সাহিত্যে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ই প্রথম নারীর মূল্য দিয়েছেন। নারীও যে মানুষ এবং রক্তমাংসের তিনিই চরিত্রের মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর তৈরী নারী চরিত্র হয়তো যুদ্ধ করেনি, হয়তো রাজনীতি করেনি কিন্তু সংসার জীবনের পরাকাষ্ঠায় তিনি নারীর ভেতরের ও বাইরের রূপ এবং রূপান্তর দারুণ মমতায়,মানবিক বোধে লালন করেছেন। একই সঙ্গে, মানুষ বা নারী কতো ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে, তারই উপমেয় বর্ণনা লিখেছেন তিনি শ্রীকান্ত দ্বিতীয় খণ্ডের শুরুতে রাজলক্ষ্মীকে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে।

তিনি লিখেছেন: ‘পিয়ারী ঘাড় নাড়িয়া বলিল, সে আমি জানি। কিন্তু নেবে আমাকে সঙ্গে? বলিয়াই আমার পায়ের উপর ধীরে ধীরে আবার হাতখানা রাখিল। একদিন এই পিয়ারীই আমাকে যখন তাহার বাড়ি হইতে এক রকম জোর করিয়াই বিদায় করিয়াছিল, সেদিন তাহার অসাধারণ ধৈর্য ও মনের জোর দেখিয়া অবাক হইয়া গিয়াছিলাম। আজ তাহারই আবার এতবড় দুর্বলতা, এই করুণ কণ্ঠের মিনতি, সমস্ত এক সঙ্গে মনে করিয়া আমার বুক ফুটিতে লাগিল, কিন্তু কিছুতেই স্বীকার করিতে পারিলাম না।

বলিলাম, তোমাকে সঙ্গে নিতে পারিনে বটে কিন্তু যখনি ডাকবে, তখনি ফিরে আসব। যেখানেই থাকি, চিরদিন আমি তোমরই থাকবো রাজলক্ষ্মী। ’

শরৎ বাবুর জীবন কাহিনীতে আমরা বার বার খুজে পেয়েছি রাজলক্ষীর প্রতি তার ভালোবাসার কথা, সেই ছোট থেকেই, ৬ বছর বয়স থেকে যখন বাগানে কুল গাছের তলায় কুল পাড়ার কথা, অথবা পাটনা স্টেশনের ১০ ক্রোশ আগে মায়ের দোয়ায় মরণ পন্ন শরৎ বাবু, রাজলক্ষী ছুটে গিয়েছিল তার জীবন বাঁচাতে এমন অনেক কথা শরৎ বাবুর লেখায় প্রমান পায় রাজলক্ষী তার জীবনে, মনে, প্রাণে কোন জায়গা বিরাজ করছিল।

নারী চরিত্র চিরকাল বৈচিত্র্যময়। এই উদার আকাশ তো আবার রৌদ্রদগ্ধ মাঠ। নারীদের মন আছে, মনে প্রেম আছে, শরীরে আকাঙ্ক্ষা আছে- এ কথা প্রথম শরৎসাহিত্যেই প্রকাশ পয়। সেই প্রকাশের পথ ধরে এক সময় বাইজী পিয়ারীও কতো বিচিত্র বিভায়, ভালোবাসায়, অভিমানে, আদরে, মমতায় অসাধারণ হয়ে ওঠে। পিয়ারী বা রাজলক্ষ্মীকে মনে হয় আমাদের শ্বাশতকালের পরম স্নেহময় নারী- কখনো মা, কখনো প্রেমিকা, কখনো সেবিকা, কখনো আপন ধর্মে নিষ্ঠাবান একজন গৃহিণী। একজন নারীর ভেতরে অনেককে দেখার ও আবিষ্কার করার অবাক ক্ষমতা দেখে পাঠক হিসেবে, এই আধুনিককালেও অবাক না হয়ে পারি না।

আমি দৃষ্টি হতে পারি,
যদি তুমি সুখের আলো দেখো।
আমি কলম হতে পারি,
যদি তুমি আত্মকথা লেখো।

আমি কথা হতে পারি
যাতে তুমি আরও হাসো।
আমি জীবন হতে পারি,
যাতে তুমি আরও বাঁচো।

আপনার জাতচক্রে জিতই ১,২,৫,১১ ভাবের যোগ থাকুক না কেন, ৫,৮ ভাবের যোগ না থাকলে ভালোবাসার গভীরতা কোনোদিন আসবে না।
যে ভালোবাসা আপনাকে জ্বালাবে, পড়াবে, আকুল করে তুলবে শুধু একটি মানুষের পরশের জন্য।

সম্রাট বোস
7890023700