James harison

অন্যকে আলো দিলে মোমবাতির ক্ষতি হয় না

লাস্ট দুদিন ধরে আমি একটা কুন্ডলী নিয়ে কাজ করছি, তার রেফারেন্স আরও কিছু কুন্ডলী আমার হাতে এলো এবং উইকিপিডিয়ার মাধ্যমে অনেকের biography ঘাটা ঘাঁটি করছিলাম।

১২ সে কেতু
—————–

অন্যকে আলো দিলে মোমবাতির ক্ষতি হয় না অনেকটা এমন হয় ১২সে কেতু।

জাতক যেখানে যেমন ভাবেই বা পরিস্থিতিতে জন্ম গ্রহন করুক না কেন, কাজের চাপে একটার পর একটা দিন সংসারের প্রয়োজনীয়তা মেটানোর কাজে কেটে গেলেও জাতকের মনের কোণে সমাজ চেতনা, আধ্যাত্মিক চেতনা, গুপ্ত জ্ঞানের স্পৃহা, পর উপকারিতা তলানিতে থেকে যাবে কিন্তু যেদিন সুযোগ পাবে সেদিন মনের আনন্দে নিজেকে উজাড় করে দেবে ঈশ্বের চেতনায়, সমাজ সেবায়, পর উপকারীতায়।

আজ আপনাদের একজন Real Hero এর সাথে পরিচয় …করিয়ে দিই।।

একজন মানুষ যিনি প্রায় ২ মিলিয়ন বাচ্চার জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছিলেন।।

জেমস হ্যারিসন, একজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক যার রক্তে এমন একটি অ্যান্টিবডি ছিলো যা অ্যানিমিয়া(যেই রোগে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণ লোহিত রক্ত কনিকা তৈরি করতে পারে না) নামক রোগ থেকে মানুষকে বাঁচাতে পারতো।। এই অ্যান্টিবডি ছোট বাচ্চাদের রেসাস ডিজিজ(এই রোগে বাচ্চার রক্ত মায়ের রক্ত থেকে ভিন্ন হয়।। যেমন, মা যদি রেসাস নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের অধিকারী হয়, তবে বাচ্চার রক্তের গ্রুপ হয় রেসাস পসিটিভ।। ফলশ্রুতিতে, মা গর্ভবতী থাকা অবস্থায় মায়ের শরীরের অ্যান্টিবডি বাচ্চার রক্তে হামলা চালায়।।) এই রকম বাচ্চারা সাধারণত মারা যায়।। মারা যাওয়ার অন্যতম প্রধান একটি কারন হলো, ব্রেইন ড্যামেজ।।

হ্যারিসনের প্রায় ৫৬ বছর যাবত রক্ত দিয়ে যাচ্ছিলেন।। যখন তার বয়স ৭৪ বছর হয়, ততদিনে তিনি সর্বমোট ৯৮৪ বার রক্ত দিয়ে দিয়েছেন এমনকি তখনো দিচ্ছেন!! এই সময়ের মধ্যে উনার এই মহৎ উদ্যোগ প্রায় ২ মিলিয়ন বাচ্চার জীবন বাঁচিয়েছে।। যখন হ্যারিসন প্রথম রক্ত দেয়া শুরু করেন, তখন তার রক্ত এতো বেশি মূল্যবান হিসেবে বিবেচনা করা হয় যে, তার নামে ১ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের জীবন বিমা করা হয়।। তার রক্ত পরবর্তীতে অ্যান্টি-ডি নামক একটি ভ্যাকসিন তৈরিতে ব্যাবহার করা হয়।।

জেনে খুশি হবেন, এই অ্যান্টি-ডি ভ্যাকসিন ব্যাবহারের কারনে ১৯৭৭ সাল থেকে রেসাস ডিজিজে বাচ্চাদের মৃত্যুহার প্রায় ৯০% কমে গেছে।।

ছবিতে দেওয়া কুন্ডলীতে সুদু আমি এখানে কেতুর অবস্থান নিয়ে আলোচনা করলাম, বাকি গ্রহের অবস্থান নিয়ে আলোচনা পরে একদিন করা যাবে।

sridhi ke sai baba
sarojini naidu
paramanando swami
saint tuka ram এর ১২সে কেতুর অবস্থান।

rebirth নিয়ে আমার কিছু case study চলছে সেখানে দেখা যাচ্ছে ১২সে কেতুর অবস্থান, তবে তার সংখ্যা কম।
এসব ক্ষেত্রে সুদু কেতুর অবস্থান দেখা ঠিক হবে না।
বাকি যা যা দেখে বিচারের প্রয়োজন সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে, সময় করে একদিন আলোচনা করবো।

সম্রাট বোস
(জ্যোতিষ প্রেমী)