Vesna Vulovich


———————-শুধুই কি ভাগ্য?——————-

★★★নাকি এর পিছনে রয়েছে গভীর জ্যোতিষ ষড়যন্ত্র ?★★★

চাণক্য বলে গেছেন এই পৃথিবীতে যখন যা যা ঘটে সব কিছুর পিছনে ঐশ্বরিক ষড়যন্ত্র কাজ করে। হাজার হাজার বছর ধরে জ্যোতিষ শাস্ত্র কোনো বিজ্ঞান এর ওপর ভরসা করেনা, এটা একটা ঐশ্বরিক শাস্ত্র সেটা বার বার প্রমাণিত হয়েছে।

★★★৩৩ হাজার ফুট নিচে পড়েও জীবিত!★★★

অনেক বছর আগের কথা। সময়কাল ২৬ জানুয়ারি ১৯৭২। সেদিন ঘটেছিল এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। ভেসনা ভুলোভিচ। ২৩ বছর ধরে চাকরি করেন বিমানকর্মী হিসেবে।

সেদিন, ডনেল ডগলাস ডি সি-৯-৩২ বিমানটিতে ডিউটি ছিল অন্য এক যুবতীর। যার নামও ছিল ভেসনার নামের সঙ্গে পুরো মিল- ‘ভেসনা’। কিন্তু ভুল করে ভেসনা ভুলোভিচই কাজে যোগ দেন ঐ বিমানে।

কাজে যোগ দিয়েই ভেসনা ভুলোভিচের জীবনে ঘটে গেল এক অবিশ্বরণীয় ঘটনা। ডনেল ডগলাস ডি সি-৯-৩২ বিমানটি ৩৩ হাজার ৩শ’ তেত্রিশ ফুট উপরে দিয়ে আকাশে উড়ছিল। উড়তে উড়তে হঠাত্‍ ঘটে বিপর্যয়। আকাশ থেকে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে যায় নীচে। দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা সবাই (মোট ২৭ জন) মারা যায়। কিন্তু একমাত্র বেঁচে যান ভুলোভিচ।

প্যারাসুট ছাড়াই আকাশ থেকে বিমানটি ৩৩ হাজার ৩শ’ তেত্রিশ ফুট নীচে পড়েও অবিশ্বাস্যভাবে প্রাণে বেঁচে যান ভেসনা ভুলোভিচ। তাকে যিনি উদ্ধার করেন তিনি হলেন ব্রুনো হেঙ্কে।

ব্রুনো হেঙ্কে বলেন, ‘ভুলোভিচ ছিলেন ভেঙে যাওয়া বিমানের ঠিক মাঝামাঝি। উইংয়ের ঠিক ওপরেই। তার দেহ ছিল আরেকটি মৃতদেহের ঠিক নীচে। এই অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।’

উদ্ধারের পর ১৬ মাস কেটেছিল হাসপাতালে। আর তারমধ্যে ২৭ দিন কোমায় আচ্ছন্ন ছিলেন তিনি। প্রায় জীবনমৃত অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেন।

সাধারণত মানুষের মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিজ্ঞান অনেক গবেষণা করে কিন্তু এখানে ওনার বেঁচে থাকা নিয়ে অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয়েছে তার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কেউ যে কেনো বা কিভাবে উনি বেঁচে গেছিলেন।

ভেসনা ভুলোভিচের জন্ম ১৯৫০ সালে সকাল ৫:০৫মিনিটে সার্বিয়া অঞ্চলের বেলগ্রেডে। সুস্থ হওয়ার পরে পুনরায় যোগ দেন সেই বিমান কোম্পানিতে। প্রথমদিকে ডেস্কে বসে কাজ করেন কিছুদিন। তারপর আবার ওড়া শুরু করেন। তিনি জানান, তার উড়তে কোনো ভয় নেই।

ভেসনার জন্ম, দুর্ঘটনা, মৃত্যু এই তিনটি দিনের যদি জ্যোতিষ আলোচনা করা যায় তাহলে অবাক করা কিছু পাওয়া যাবে না কিন্তু ওই তিনটি দিনের ঘটনায় অদ্ভুত একটা সমান্তরাল মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।

জন্ম: 03/01/1950 05/05am
দুর্ঘটনা: 26/01/1972 03/15 to :4:05 pm
মৃত্যু: 23/12/2016 06/17 am

এই তিনটি দিনেই চন্দ্রের অবস্থান মঙ্গলের নক্ষত্রে মনে ৫ নাম্বার টা ঘুরে ফিরে আসছে, জন্ম ৫ নাম্বার নক্ষত্র মৃগশিরা, আকাশ থেকে পড়ে যাওয়া ৫ নাম্বার নক্ষত্র মৃগশিরা, চির ঘুমে যাবার দিনে ১৪ ১+৪=৫ চিত্রা নক্ষত্রে সেটাও মঙ্গলের নক্ষত্রে, ব্যাপারটা কাকতলীয় মনে হতে পারে কিন্তু আমি তেমন কিছু মনে করি না, মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একটা সূত্র বাঁধা থাকে যেটা হয়তো আমরা ধরে উঠতে পারি না, ওনার শেষ দিনের তারিখ টাও ছিল 23 2+3= 5

★★ভেসনার জন্ম লগ্ন ছিলো বৃশ্চিক এবং লগ্নের নক্ষত্র ছিলো জেষ্ঠা অদ্ভুত ভাবে মৃত্যুর সময়ের লগ্ন ছিলো বৃশ্চিক এবং নক্ষত্র ছিলো জেষ্ঠা।

★★ ভেসনার জন্মের সময় ১১ ভাবে মঙ্গল কেতুর যোগ ছিলো, যাহা অবাঞ্চণীও দুর্ঘটনার ইঙ্গিত করে আর মৃত্যুর সময় একই ৪ ভাবে মঙ্গল আর কেতুর যোগের সৃষ্টি হয়েছিলো।

★★ তৃতীয় ভাব থেকে যাত্রা, যোগাযোগ এমন কিছু বিচার করে থাকি সেখানে শুক্রের অবস্থান ভেসনার প্লেনে চাকুরী করার যোগ আকৃষ্ট করেছিলো অদ্ভুত ভাবে মৃত্যুর দিনেও তৃতীয় ভাবে ভেসনার জাত চক্রে শুক্রের অবস্থান ছিলো।

মানুষের জীবনে প্রতিটা মুহূর্ত যেমন ভাবে অতিবাহিত হয় তার পিছনে অনেক গভীর জ্যোতিষ শাস্ত্র লুকিয়ে আছে। প্রতিদিন একটি করে নক্ষত্রের পরিবর্তন ঘটে সেই নক্ষত্রের ওপর নির্ভর করে মানুষের জীবনের জোয়ার ভাটা খেলে বেড়াচ্ছে।

ভেসনার বেঁচে থাকার পিছনে অথবা জীবনের প্রতিটি উল্ল্যেখযোগ ঘটনার পিছনে মঙ্গল গ্রহ এবং মঙ্গলের নক্ষত্রের ভূমিকা অপরিসীম ছিলো, জন্ম সময় লগ্নপতি মঙ্গলের অবস্থান ছিলো ১১ ভাবে, যে ভাবকে আমরা শুভ বিচার করি আয়, উন্নতি, পাওয়া ৩৩ হাজার ফুট ওপর থেকে নিচে পড়ে গিয়েও মৃত্যুকে হারিয়ে ফিরে এসেছিলো
৮মে চন্দ্র সেই মঙ্গলের নক্ষত্রে অবস্থান করেছিলো, ৮ম থেকে মৃত্যুর দিন বিচার করি, মঙ্গলের নক্ষত্রে মৃত্যুকে ফাঁকি দিয়ে ফিরে এসেছিলেন ২৮ জনের মধ্যে ভেসনা একা। মৃত্যুর দিনে চন্দ্রের অবস্থান ছিলো ১২ ভাবে চিত্রা নক্ষত্রে সেটাও মঙ্গলের নক্ষত্র, ১২ ভাব শেষ ভাব, যেখান থেকে মুক্তি পাওয়া, জীবনের সব খেলা শেষ করে মানুষ চিরন্তর মুক্তি পেয়ে থাকে।

সাধারণ মানুষ জ্যোতিষ এর কাছে তাদের অনেক অনেক প্রশ্ন নিয়ে আসে আর 5 মিনিটে তাদের জীবনের সব কিছু বিচার করে চলে যায়, আমার মনে হয় একটি জীবন একটি উপন্যাস তাকে যত পড়বে তাকে যত জানবে জ্যোতিষ বিচার টাও সুদৃঢ় হবে।

প্রতিটা মানুষের জীবনে একটা জ্যোতিষ বন্ধু থাকার ভীষণ প্রয়োজন আছে, একটা বন্ধুই পারে তার ছোট ছোট ভালো মন্দ দিক গুলো তুলে ধরতে।

সম্রাট বোস
7890023700